নবকণ্ঠ ডেস্ক:
লেখক, কলামিস্ট, দৈনিক নরসিংদীর নবকন্ঠের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরুদ্দীন দরজীর বড় বোন ময়না বেগম উমরাহ পালনরত অবস্থায় গত ২১ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার পবিত্র মদিনা মনোয়ারায় ইন্তেকাল করেছেন( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
মক্কার কাবায় সকল কাজ সুষ্ঠভাবে শেষ করে মদিনা যাওয়ার পথে তিনি জ্বর ও প্রচন্ড ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মদিনা পৌছার পরের সকালে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৯ বছর। তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্ৰামের মরহুম আলহাজ্ব মুনসুর আলীর সহধর্মিনী। তিনি চার ছেলে, এক মাত্র মেয়ে, নাত নাতনী এক ভাই, এক বোন এবং বহু গুনগ্ৰাহী রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মীর আবদুল আউয়াল একমাত্র মেয়ে জামাই পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কবীর মৃধা। এক পুত্র বধু শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত জেসমিন আক্তার। দুই ছেলে মীর আবদুল কাইয়ুম ও মীর আবদুস সবুর এবং কনিষ্ঠ ছেলে মীর মোঃ আবদুর শাকুর ব্যাংক অফিসার। নাতিদের মধ্যে দুইজন ইনান কবীর মৃধা দৃপ্ত ও আলীফ মাহমুদ অক্ষর এমবিবিএস অধ্যয়ণরত।
মরহুমা ময়না বেগম খুবই ধর্ম পরায়ন ও ধর্মভীরু ছিলেন। জীবনের প্রভাত কাল হতে ৮/৯ বছর বয়সে থেকে নিয়মিত রোজা নামাজ করতেন। শত কাজের মাঝে ও ইবাদত বন্দেগীতে ছিলো সর্বাগ্ৰ সর্বাধিকার। প্রত্যহ নিয়মিত কোরান তেলোয়াত করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। মহান আল্লাহ ও নবী রসুলের প্রতি খুবই অনুরক্ত ছিলেন। মক্কা মদিনা ছিলো অন্তরে গাথা। বার বার ছুটে যেতে চাইতেন সে পবিত্র জায়গায়। সর্ব শেষের যাত্রা ছিলো চতুর্থ বারের মত । তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে মদিনার সন্নিকটে উহুদ পাহাড়ের নিচে কবরস্থ করা হয়েছে-যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর চাচা হামজা (রাঃ)সহ ৭০ জন সাহাবী ও অনেক পুণ্যবান বুজুর্গের কবর রয়েছে। শুধুমাত্র আল্লাহ ও নবী রসুলের প্রতি বিশেষ আসক্ত থাকার কারণে, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য তিনি ছেলেমেয়ে, আদরের নাতি নাতনি, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও ভাইবোন ছেড়ে সুদূর মদিনার পুণ্য ভূমিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে অবশ্যই তাকে জান্নাতের উচ্চতম আসন দান করবেন কামনায় মরহুমার ভাই ও পরিবারের ছেলেমেয়েদের পক্ষ হতে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
সংবাদটি সর্বমোট 248 বার পড়া হয়েছে