অরবিন্দ রায়:
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষক দিবস উদযাপনে নরসিংদীতে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। এ বছর প্রথম বার সরকারি ভাবে শিক্ষক দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছরে শিক্ষক দিবসে প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে শিক্ষকদের হাত ধরে শিক্ষা ব্যবস্হার রুপান্তর শুরু।
শিক্ষক দিবস সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথমবার শিক্ষক দিবস পালন করতে পেরে খুশী শিক্ষকরা। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে নরসিংদীতে র্যালি, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরন, স্কুলে স্কুলে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। নরসিংদী শিক্ষক দিবস উদযাপনের সদস্য সচিব জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম মিএ শিক্ষক দিবস সুষ্ঠু, সুন্দর ভাবে পালনের জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। সকাল ৯ টায় নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষকদের র্যালিটি বের হয়ে ডিসি রোড দিয়ে গিয়ে শেষ হবে। স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হবে। শিক্ষক দিবসে পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও জেলার তৃতীয়বারের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ শিক্ষকদের এক হাজার পানির বোতল সরবরাহ করার ঘোষণা করেছেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
শিক্ষক দিবস উদযাপনে মাউশির ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।
১। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল দপ্তর ও তাদের আওতাধীন জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সকল অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ দাপ্তরিক ও প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আগামী ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে শিক্ষক দিবস উদযাপনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
২। “শিক্ষক দিবস-২০২২” উদযাপন আয়োজনটি সর্বাঙ্গীনভাবে সফল করার লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিম্নে বর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনে আরও একাধিক সদস্য বর্ণিত কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে।
৩। জেলা পর্যায়ের কমিটি (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়) নাম ও পদবীমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর আওতাধীন ১টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সাথে আলোচনাক্রমে অঞ্চলসমূহের শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানসার্বিকভাবে সমন্বয় ও তদারকী করবেন।
৪। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে ব্যালি আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করতেমহানগরে অবস্থিত থানাসমূহ মহানগরীর আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে এবং মহানগরের বাহিরে অবস্থিত উপজেলাসমূহ উপজেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করবে।
৫। সকল স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আদলে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করতে হবে। কেন্দ্র হতে সরবরাহকৃত (ব্র্যাক এর সহযোগিতায়) নির্ধারিত ডিজাইনের ব্যানারে জেলা/উপজেলার নাম সংযোজন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যানার এর ডিজাইন অপরিবর্তীত রেখে আকার পরিবর্তন করা যেতেপারে।
৬। বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল শিক্ষক শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন তাঁদেরকে সম্মান প্রদর্শনপূর্বক র্যালির প্রথম সারিতে রাখা যেতে পারে এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে নিজ উদ্যোগে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন ও সম্মাননা (উপহার, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট) প্রদান করতে পারে।
৭। র্যালিটি বর্ণাঢ্য করার জন্য কেন্দ্র হতে সরবরাহকৃত ডিজাইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে পারে।
৮। র্যালিটি সুশৃঙ্খল করার জন্য স্কাউট বিএনসিসি ও গার্ল গাইডস এর সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
৯। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে র্যালির পর জেলা/উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর শুরু শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
১০। র্যালি আয়োজন ও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপন এর ক্ষেত্রে ICT4E অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
১১। শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে বা সুবিধাজনক স্থানে ৩টি (১টি ফলদ, ১টি বনজ ও ১টি ভেষজ )গাছের চারা রোপণ করতে হবে।
১২। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট/সন্ধানী/বাঁধন এ সকল সংস্থার মাধ্যমে রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা যেতে পারে।
১৩। র্যালি অনুষ্ঠানটি বর্ণাঢ্য করার জন্য দেশীয় সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যান্ড/সংগীত/নাটিকা উপস্থাপন করা যেতে পারে।
১৪। র্যালি ও আলোচনা সভার স্থির চিত্র/ভিডিও সংরক্ষণ করতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে র্যালি এবং এতদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৬। জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সকল আয়োজনে স্থানীয় পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।
১৭। এ আয়োজনে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। নিজস্ব উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপানের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে কোন ধরণের চাঁদা গ্রহণ করা যাবে না তবে কোন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে চাইলে তা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংবাদটি সর্বমোট 349 বার পড়া হয়েছে