নবকণ্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন ও পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারী ও গৃহগণনা- ২০২২’ বিষয়ক প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন এসব তথ্য জানান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সারা দেশে ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম ১৫ থকে ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীরেন শিকদার এমপি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জনশুমারী ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন ওয়ারী জনসংখ্যা যথাক্রমে বরিশালে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫১ জন, চট্টগ্রামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৬ জন, কুমিল্লায় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪ জন, ঢাকা উত্তরে ৫৯ লাখ ৭৯, হাজার ৩৭ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫ জন, গাজীপুরে ২৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৭ জন, খুলনায় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৩৫ জন, ময়মনসিংহে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭২২ জন, নারায়নগঞ্জে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৪ জন, রাজশাহীতে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৯১ জন, রংপুরে ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৮৪ জন এবং সিলেটে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৪২৬ জন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১১৯ জন যা ২০১১ সালের জনশুমারিতে ছিল ৯৭৬ জন। সাক্ষরতার শতকরা হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে গড় জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যায় দেখা গেছে, মুসলমান ৯১ শতাংশ। সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে হিন্দু ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ যা আগের শুমারিতে ছিল শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশে এখন মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ। আগের শুমারিতে ছিল ৩ কোটি ২১ লাখ। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 197 বার পড়া হয়েছে