ভূমি প্রশাসন দক্ষ করে গড়তে ‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’ তৈরি করা হয়েছে : ভূমিমন্ত্রী

নবকণ্ঠ ডেস্ক :

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি প্রশাসন দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষ ভূমি সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন দক্ষ ভূমি প্রশাসন। এর মাধ্যমে ভূমি প্রশাসনে দ্রুত উপাত্ত পরিচালিত নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
সোমবার ১৮ জুলাই ‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’-এর জন্য সংস্কার ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’-এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করার প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে পত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত পদকের জন্য মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর ফলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ভূমিসেবার নিশ্চয়তা প্রসারিত হচ্ছে। সরকারের জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হচ্ছে। জলমহাল, বালু মহাল, লবণ মহাল, চা বাগান, চিংড়ি মহাল, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাট বাজার, অধিগ্রহণ, খাস জমি, অর্পিত সম্পত্তিসহ সকল সরকারি ভূসম্পত্তির তথ্য হালনাগাদ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে ভূমি তথ্য ব্যাংকে। ইতোমধ্যে ভূমি তথ্য ব্যাংকে ৩৮ হাজার ৭ শ’ ৪৩টি জলমহাল, ৫১৮টি বালুমহাল, ১৫১টি চা বাগান, ১৫০টি লবণ মহাল, ১ হাজার ৫ শ’ ৮১টি চিংড়ী মহাল, ৯ হাজার ৬ শ’ ২৮টি হাটবাজার এবং ৩৭ হাজার ৩০ একর অধিগ্রহণ সম্পর্কিত তথ্য আপডেট করা হয়েছে।
এছাড়া এই ‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’ সারা দেশের সহকারি কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবহার করতে পারছেন। চব্বিশ ঘণ্টার আপডেট, পুরো সপ্তাহের তথ্য, এমনকি মাসভিত্তিক হিসেব করে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত ভূমির তথ্য এক ক্লিকে জানা যাচ্ছে। একই সঙ্গে এসব সরকারি ভূ-সম্পদ ইজারা দেওয়ার সিস্টেমও তৈরি করা হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট প্রকৃত পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে স্বচ্ছ ও দক্ষতার সঙ্গে সরকারি সম্পদ ইজারা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে জলমহাল আবেদন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ দখল থেকে সরকারি সম্পদ উদ্ধারের হার বৃদ্ধি এবং ভূমি সংক্রান্ত দালাল ও জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাওয়াসহ এ উদ্যোগের ফলে দেশে বিভিন্ন উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ ডাটা হালনাগাদ করা হয়েছে।
‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’ স্থাপনের ফলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, সরকারি ও খাসজমি রক্ষা, অর্পিত সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষতার সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার মাধ্যমে সরকারি স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের (২০২১) ৮ই সেপ্টেম্বর ভূমি তথ্য ব্যাংক (ল্যান্ড ডাটা ব্যাংক) উদ্বোধন করেন। সূত্র: বাসস

সংবাদটি সর্বমোট 231 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *