মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে এটি আপনার প্রতিদিনের কাজকর্মকে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। মাইগ্রেন সাধারণত পিরিয়ডিক্যালি, অর্থাৎ বিরতি দিয়ে দিয়ে আক্রমণ করে। মাইগ্রেন সাধারণত চার ঘণ্টা থেকে তিন দিন অবধি থাকতে পারে এবং কখনো কখনো তা আরো দীর্ঘ হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা তিন গুণ বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয়।
বেশির ভাগ লোকের ১০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা শুরু হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেনের প্রকোপ কমে আসে। এমনকি ৫০ বছর বয়সে এসে অনেক মহিলার মাইগ্রেনের প্রকোপ কমতে থাকে বা একেবারে ভালো হয়ে যায়।
কারণ
মাইগ্রেনের মাথা ব্যথার সঠিক কারণগুলো এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকরা মনে করেন, মস্তিষ্কের পরিবর্তনের পাশাপাশি বংশগতির জিনগুলোর সঙ্গে এই ব্যথা সম্পর্কিত।
মানসিক চাপ, পনির, অ্যালকোহল, ফাস্ট ফুড, ক্যাফেইন, আবহাওয়ার পরিবর্তন, ক্লান্তিকর কাজ, উজ্জ্বল আলো, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের পরিবর্তন মাইগ্রেনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।
করণীয়
♦ মাইগ্রেন ট্রিগার শনাক্ত করে তা এড়িয়ে চলা।
♦ মাথা ব্যথার ডায়েরিতে আপনার লক্ষণগুলো ট্র্যাক করুন, যাতে আপনি কিসে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নির্ধারণ করতে পারেন।
♦ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট মাইগ্রেনের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
♦ যেসব মহিলার প্রায়ই পিরিয়ডের সময় মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাদের মাইগ্রেনের ওষুধ, সময় করে খাওয়াদাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
♦ বেশির ভাগ রোগী মাইগ্রেনের ব্যথা শুরুর আগে বুঝতে পারে, ওই সময় ব্যথানাশক ওষুধ খেলেই ব্যথা কমে আসে।
♦ যাদের নিয়মিত বিরতি দিয়ে ঘন ঘন মাইগ্রেনের ব্যথা হয় তাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. গিয়াস উদ্দিন সাগর
স্নায়ু ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ
ন্যাশনাল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
সংবাদটি সর্বমোট 255 বার পড়া হয়েছে