নবকণ্ঠ ডেস্ক:
ঝিনাইদহ থেকে চুরি হওয়া ও আন্তঃজেলা গরু চোর দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে জেলার কালীগঞ্জ থানায় অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর এলাকার আকুব্বর কাজীর ছেলে উজ্জ্বল কাজী (৩৫), চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সুজন খান (৪২), ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আল আমিন কাজী (২৯), বড় খাজুরা এলাকার মৃত মজিদ শেখের ছেলে শেখ ওহাব (৫০), খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে জিয়া শেখ (৪২), ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাঙ্গা এলাকার আজিজ ফকিরের ছেলে সেকেন্দার আলী ফকির (৪৫) ও একই উপজেলার খলসি এলাকার হালিম গাজীর ছেলে রুবেল গাজী (৩৫)।
জানা যায় গত ১২ অক্টোবর রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের হতদরিদ্র ফিরোজা বেগম সেনুর ৯ টি গরুর মধ্যে ৭ টি গরুর চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এর আগে ১৯ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহ গ্রামের জনৈক জালাল গাজীর ৬ টি গরু চুরি হয়। এ দুটি ঘটনায় গরুর মালিকেরা সদর ও কালীগঞ্জ থানায় ২ টি আলাদা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারও সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর শনাক্ত করে। পরে রবিবার খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাজিয়াড়া ও ফলসি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ টি চোরাই গরু।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, এই চক্রটি ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরুর চুরি করে আসছিল। এদের দলনেতা উজ্জল কাজী ও জিয়া শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের ওই দুই মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া গরু গুলো আদালতের মাধ্যমে মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
সংবাদটি সর্বমোট 231 বার পড়া হয়েছে