নবকণ্ঠ ডেস্ক:
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। করোনার কারণে এবার ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। প্রথম দিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধান প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ডিসি সম্মেলনে এবার আমরা সবকিছু একটু পরিবর্তন করে দিয়েছি। এজন্য আমরা ওসমানীতে নিয়ে গেছি, যাতে পর্যাপ্ত স্পেস পাওয়া যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। শুধু ১৫ জন মন্ত্রী ও ১৫ জন সচিবকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।’
‘কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিব এসে স্টেজে বসবেন, জেলা প্রশাসকরা নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবেন।’ তিনি বলেন, ‘এবার সম্মেলনে মোট ২৫টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্যঅধিবেশন ২১টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা গ্রহণ নিয়ে একটি, স্পিকারের শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে একটি অধিবেশন হবে।’ খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘সম্মেলনে মোট ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।’ কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে ভূমি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত, এ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রস্তাব ১৮টি। এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (১৬টি প্রস্তাব) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত (১৫টি) প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে।’
ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা, কোভিড ম্যানেজমেন্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আরো ব্যবহার ও ই-গভার্ন্যান্স আরো নিশ্চিত করা, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্হ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন। এ বিষয়গুলোই মূলত আলোচনায় আসবে।’ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হার ছিল ৭৫ শতাংশ।’ সূত্র: ইত্তেফাক
সংবাদটি সর্বমোট 328 বার পড়া হয়েছে