নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ১৪ বছর পর বেতন-ভাতা পেয়েছেন নরসিংদীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন পর নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে বেতন-ভাতা পেয়ে খুশি শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার (১২ জুন) শহরের ভেলানগর (ব্যাংক কলোনী) এলাকায় জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিকী জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম শিক্ষক ও কর্মচারীদের হাতে বেতন-ভাতা তূলে দেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বিনা বেতনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়টির দেড় শতাধিক শিশুদের পাঠদান করে আসছিলেন শিক্ষকরা। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম অবহিত হওয়ার পর তিনি উদ্যোগী হয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে এ বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করেন। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে কেক কেটে প্রতিকী জন্মদিন পালন করে জেলা প্রশাসন।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়টি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিকী জন্মদিন অনুষ্ঠানে আব্দুল মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আব্দুল কাদির মোল্লা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সরকারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন দাস, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি নেজারত কালেক্টর শিহাব সারার অভি, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র কর্মকর্তা, নঈমা আক্তার, সুইড বাংলাদেশ নরসিংদী শাখার সাবেক সদস্য সচিব, নাজমুল হক ভূঁইয়া, বর্তমান সুইড বাংলাদেশ নরসিংদী শাখার সদস্য সচিব এডভোকেট আমিনুল হক রানাসহ অন্যরা।
এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীকে বিদ্যালয়ের সভাপতি, জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম মাসে ১২জন শিক্ষক-কর্মচারির বেতন- ভাতা প্রদান করে যাবেন ঘোষণা করেন এবং চলতি মাসের ভাতা অগ্রিম প্রদান করেন। পরে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রতিকী জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিগণ।
এসময় অতিথিগণ বলেন, এই শিশুদের একেকজন হতে পারেন ভবিষ্যতের বাতিঘর। এর জন্য আজকে এই শিশুদের মা-বাবাদের কষ্ট করতে হচ্ছে। এসব শিশুদের জন্য মানসম্মত একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ শতক জায়গা ও শিল্পপতি আবদুল কাদির মোল্লার পক্ষ থেকে ভবন করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি নরসিংদী জেলা শহরের একমাত্র অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম ও থেরাপি দেয়া হয়।
-শান্ত বণিক/নবকণ্ঠ
সংবাদটি সর্বমোট 215 বার পড়া হয়েছে