নরসিংদীতে খোলাবাজারে আগামীকাল থেকে স্বল্পমূল্যে ওএমএস এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সমগ্র দেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার(১সেপ্টেম্বর-২০২২)থেকে নরসিংদীতে খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে ওএম এস এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিক্রি শুরু করা হচ্ছে। নরসিংদী’র জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বুধবার (৩১আগস্ট-২০২২) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নরসিংদী জেলায় একযোগে ৪৯ টি দোকানের মাধ্যমে ৩০টাকা কেজি হারে ওএমএস চাল বিক্রি করা হবে। সেখানে প্রতি পরিবারের পক্ষে একজন লোক প্রতি মাসে ৫ কেজি করে দুই বার ১০ কেজি ওএমএস চাল ক্রয় করতে পারবে। এছাড়াও, শ্রমঘন নরসিংদী জেলায় ১৫টি দোকানের মাধ্যমে ১৮টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হবে।এবারের ওএমএস চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি টিসিবি’র কার্ডধারীরাও চাল ও আটা ক্রয় করতে পারবে। ওএমএস কার্যক্রমে প্রতিদিন একজন ডিলার ০২টন চাল বরাদ্দ পাবে। কোন লাইনে ক্রেতা থাকা অবস্থায় ডিলারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী দিন ক্রেতাদের আসার অনুরোধ জানানো হবে।
ওএমএস কার্যক্রমের পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও চলমান থাকবে। ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় নরসিংদী জেলায় ৬২,৯৫৮ জন ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ দুইবার চাল ক্রয় করতে পারবে। উল্লেখ্য, পূর্বে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আওতায় ১০টাকা দরে চাল বিক্রয় হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বর্তমানে পনেরো টাকা কেজি দরে এ চাল বিক্রয় হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, “এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়”। জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর-২০২২) হতে দেশব্যাপী ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় জনসাধারণকে স্বল্প মূল্যে চাল ও আটা বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশে সর্বমোট ২,৩৬৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১,৯৬০ টি কেন্দ্রে শুধু চাল এবং ৪০৩ টি কেন্দ্রে চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম আগামী তিন মাস ব্যাপী অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর চলমান থাকবে। প্রতি সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ব্যাতীত ০৫ দিন এবং মাসে সর্বোচ্চ ২২ দিন চাল ও আটা বিক্রি করা হবে।
ওএমএস কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ও উপজজেলা প্রশাসন কর্তৃক ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে যারা মাঠ পর্যায়ে ওএমএস চাল বিক্রি মনিটরিং করবেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সক্রিয় কর্মী হিসেবে সরকারের এ মহতী উদ্যোগ বহুল প্রচার এবং জনগণকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী চাল ক্রয়ে উদ্বোদ্ধ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি। প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত থাকার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সংবাদটি সর্বমোট 141 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *