নূরুল ইসলাম নূরচান:
দেশে কমেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার, নেই লকডাউন বা সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ। তারপরও দফায় দফায় বাড়ছে পণ্যমূল্যের দাম। নরসিংদীর হাটবাজারগুলোতে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে সবজির দাম। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এদিকে চাহিদার তুলোনায় আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে সবজির দাম, এমনটিই বলছেন সবজি ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই শীতের কিছু আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তারপরও দাম চড়া।
গত বুধবার নরসিংদীর ভেলানগর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে সবজির দাম যা ছিল তা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। প্রকার ভেদে বেগুনের দাম ছিল ৩০ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। ১০ টাকার শসা, এখন ৫০ টাকা, পটলের দাম ছিল ৪০ টাকা, এখন তা ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁরস ছিল ২৫ টাকা এখন তা ৫০-৬০ টাকা। প্রতি হালি কাঁচকলা বিক্রি হতো ১০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। বরবটির কেজি ৭০ টাকা। এভাবেই বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক বাবুল হোসেন বলেন, এক দুই দিনে এতো সবজির দাম বেড়ে গেছে? ভাবতেই পারতেছি না। আমরা গরিব মানুষ, দিন খাটি, দিন খাই। এখন সারাদিন ভ্যান চালায়ে যা কামাই হয় তা দিয়ে আর সংসার চলছে না। আবার দেখছি প্রতিটি সবজির দাম নাগালের বাহিরে। কি যে করি!
লতিফা নামে একজন সবজি ক্রেতার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, সবজি বাজার করতে এসে আমি হতবাক। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। হঠাৎ এতো দাম বাড়লে, আমরা সাধারণ মানুষ কি ভাবে চলবো? কাকে বলব, আর কে বা শুনবে!
ভেলানগর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সবজি বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, আমরা কি করব? আর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে কথা বেশি বলতে হচ্ছে। এদিকে আবার করোনার কারণে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি আগের তুলনায় অর্ধেক। কি যে করি ভাই ভেবে পাচ্ছি না।
বাজারে কথা হয়, পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘ হঠাৎ করে সবজি বাহির থেকে কম আমদানি হচ্ছে। আবার চাহিদা ও বেশি, যার কারণে বেশি দামে আমাদের কিনতে হচ্ছে। আবার তা বেশি দামে বিক্রি করছি। সামনে শীত মৌসুমে শীতের সবজি আমদানি বৃদ্ধি পেলে সবজির বাজার আবার কমে আসবে।’ অপরদিকে কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও বর্তমানে আবার দাম বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
সংবাদটি সর্বমোট 274 বার পড়া হয়েছে