নবকণ্ঠ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিশেষ দশটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ’ বিষয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা এই অভিমত তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভুঁইয়া।
জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি এবং রংপুর চেম্বারের প্রতিনিধি সহ ১০০ লোক ১০টি গ্রুপে কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হলো, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (আমার বাড়ি, আমার খামার), আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামিজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা।
রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ েেহাসেন এবং উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) জিলুফা সুলতানা দ’ুটি পৃথক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিটি খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গ্রুপ আলোচনার পর অংশগ্রহনকারীরা স্থানীয় পর্যায়ে ১০ টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত বা প্রচার করা দরকার সে বিষয় লিখিত সুপারিশ তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন অর্জন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার দারিদ্র ও ক্ষুধা নিরসন, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তাসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, দারিদ্র বিমোচন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ, নারী এবং শিশু উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 265 বার পড়া হয়েছে