নবকণ্ঠ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এবং জামাত শিবিরের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে আগামী ২৮ মে রোববার বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামাত মরণ কামড় দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কাছে সাধারণ মানুষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার কোনো মূল্য নাই। যারা জ্বালাও-পোড়াও করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করতে পারে, তাদের মানুষের প্রতি কোন মায়া মমতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের শক্তির ভিত্তি এদেশের সাধারণ মানুষ। এই সাধারণ মানুষের জানমালের ওপর কোন আঘাত এলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়েই পাল্টা আঘাত দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক সেটা বড় কথা নয়, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। এ সংগঠনের রাজপথের লড়াই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আছে। যে কোন দুর্যোগ, দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থেকেছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জনবান্ধব।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এখন থেকে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডে ও ইউনিটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এলাকাবাসীকে নিয়ে নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে এবং যেখানে অরাজকতা ও নাশকতা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সেখানে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝান বিএনপি জামাত হাজার হাজার অপকর্মের খলনায়ক। তারা মানুষ হত্যা করেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, সরকারি সম্পদ লুণ্ঠন করেছে এই চিত্রগুলো তাদের জানান দিন। তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার জন্য দলের প্রতিটি স্তরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনা করার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকম-লীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মুনসুর, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, কামরুল আজম বুলু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, আলহাজ মহব্বত আলী খান, ডা. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
এছাড়া ১৫টি থানা, ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 365 বার পড়া হয়েছে