নবকণ্ঠ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’স্লোগানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলা থেকে ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী উৎসবস্থলে উপস্থিত হয়।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন আসিফ টিউটোরিয়াল অ্যান্ড হাইস্কুলের শিক্ষার্থী অনিশা ইসলাম ও পৃথা চ্যাটার্জি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজার মো. আরিফুল হক এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ বলেন, ‘প্রথম আলো গণিত উৎসবের পাশাপাশি অসংখ্য সামাজিক কাজকর্ম করে যাচ্ছে। গণিত উৎসব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই ব্যতিক্রমী ও সুন্দর কাজটি প্রথম আলো শুরু থেকেই করে যাচ্ছে। গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণিত জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। গণিত ছাড়া আমাদের জীবন একেবারেই চলে না। পাশাপাশি আমাদের রয়েছে গণিতভীতি। এ কারণে দেখা যায়, গণিতে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হচ্ছে। গণিত আসলে ভয়ের কোনো বিষয় নয়। গণিত যুক্তিনির্ভর একটি বিষয়। এই যুক্তির জন্যই আমাদের গণিত শিখতে হবে, জীবনে চর্চা করতে হবে।’
উদ্বোধনের পর সকাল ১০টা থেকে কলেজের তিনটি কক্ষে গণিতের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর থাকবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব। পাশাপাশি চলবে খাতা মূল্যায়নের কাজ।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, রসায়নের সহকারী অধ্যাপক আবদুল খালেক, পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ও চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হরিপদ সাহা। খাতা মূল্যায়ন শেষ হলে শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। সূত্র: প্রথম আলো
সংবাদটি সর্বমোট 131 বার পড়া হয়েছে