মাদারীপুরে হত্যা মামলায় খুনি প্রেমিকের ফাঁসি

নবকণ্ঠ ডেস্ক:

প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে ১৪ বছর পর আজ খুনি প্রেমিককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়র জজ আদালত (প্রথম আদালদত) লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। একইসাথে শহিদুল মোল্লাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত শহিদুল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণদি এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে। অপরদিকে প্রেমিকা ফরিদা আক্তার (২২) সদরের মহিষেরচর এলাকার করিম কাঢ়ীর মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ মে প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিক শহিদুল ঘুরতে বের হয় প্রেমিকা ফরিদাকে নিয়ে। পরে কালকিনি উপজেলার (বর্তমানে ডাসার উপজেলা) ধুয়াসার এলাকায় নিয়ে বিয়ের আশ^াস দিয়ে শারিরিক সম্পর্কের পর শ^াসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শহিদুল। পরদিন নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওইদিনই ফরিদার বড়ভাই হান্নান কাঢ়ী বাদী হয়ে কালকিনি থানায় শহিদুল মোল্লাকে একমাত্র আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তৎকালীন কালকিনি থানার এসআই হারুণ অর রশীদ শহিদুলকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২২ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সময় ২০ জনকে সাক্ষিকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদনও করেন। পরে বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক শেষে ১২ জন্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী শহিদুলকে ফাঁসির আদেশ দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।
মাদারীপুর আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ঘটনার ১১ বছর ৪ মাস পলাতক ছিল আসামী শহিদুল মোল্লা। পরে ২০১৯ সালে গ্রেফতার হয় সে। এই হত্যা মামলায় রায়ে বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। দ্রুত রায় কার্যকরে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।
আসামীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম জানান, রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। সূত্র: বাসস

সংবাদটি সর্বমোট 163 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *