নবকণ্ঠ ডেস্ক:
“শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ৮৮ মতিঝিলস্থ স্বাধীনতা ভবনে স্থাপিত শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পন করে যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ হতে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এসএম মাহবুবুর রহমান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার রেজা চৌধুরী, বীর প্রতীক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীর প্রতীক, ট্রাস্ট্রের সচিব (উপসচিব) তরফদার মো. আক্তার জামীল প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন নির্মল, বন্ধুবৎসল, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এক মানবিক শিশু। ছোট বয়সের ব্যক্তিত্ব, মানবিকতা আর উপস্থিত বুদ্ধির কারণে শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। বেঁচে থাকলে তিনিও হয়তোবা সামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে। ভিশন ২০২১, ২০৪১, এসডিজি ২০৩০, ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার বোন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যেমন দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, বেঁচে থাকলে তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন। বক্তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শেখ রাসেল এর জীবনীর প্রতিটি দিনক্ষণের গল্পগুলো তুলে ধরার আহবান জানান।
সংবাদটি সর্বমোট 220 বার পড়া হয়েছে