রায়পুরায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

 

রায়পুরা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও কলেজের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ মাঠে এই অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর কলেজের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘দ্যোতন’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

কলেজের সভাপতি এড. মো ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জাপানিজ ইকোনমিক জোনের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব সালেহ আহমদ, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য যুগ্ম সচিব আলিফ রুদাবা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা’র পরিচালক উপ সচিব আরিফুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কন্যা তুহিন মতিউর, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জাফর উল্লাহ ভূইয়া, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার সাবেক এম ডি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল হক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম, কলেজের অধ্যক্ষ মো আবদুল লতিফ প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথি এম এ এন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু লেখাপড়া করলেই হবে না, মানসম্মত কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সবাই চাকরির জন্য ঘুরে বেড়ায়, চাকরিই সমাধান নয়। বাসায় বসে প্রযুক্তির মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। দক্ষতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সামনে প্রতিযোগিতার যুগে ডিগ্রির কোনো কাজে আসবে না। যে সময়টুকু তোমরা পাও, তার ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ সম্পদে পরিণত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। এই ভূমি খুব উর্বর, এই উর্বর ভূমিকে কাজে লাগাতে হবে। যে জাতি যত শিক্ষিত, তারাই তত উন্নত। অভিভাবকদের বলছি, সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ শক্তিতে পরিণত করেন। সে যদি কিছু নাও করে তার সন্তানদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবে। এতে এই কলেজসহ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর গ্রামের সুনাম দেশ নয় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।’

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এখানটায় কলেজের অভাব ছিলো। সকলের সহযোগিতা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে নিজ গ্রামে ২০১৮ সালে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যপ্তি ঘটেছে দ্রুত সময়ে। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলা ও নানারকম আত্মবিকাশমূলক সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলছে। ভবিষ্যতে সকলের সহযোগিতায় কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান করতে পারবো।

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

সংবাদটি সর্বমোট 158 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *