অনলাইন ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে যাদের ঢাকায় আনা হয়েছে তাদের জন্য আলাদা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রামেও একটি আলাদা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা মাঠপর্যায়ের কাজ করছে। এসবের পাশাপাশি সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করি। আমাদের মূল কাজ হলো জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। আমরা সেই কাজে মনোযোগী। আমরা তুলে ধরতে চাই যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। যারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, নেওয়া হচ্ছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যের ডিজি অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলমসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ চিকিৎসক নেতারা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে লাগা আগুনের ফলে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের পর আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
নিহতদের অধিকাংশের পরিচয় এখনো মেলেনি। সেই পরিচয় নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৬ পরিবারের ৩০ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএর নমুনা সংগ্রহে চুল, রক্ত ও লালা নেয়া হচ্ছে স্বজনদের। তবে মরদেহগুলোর পরিচয় জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১ মাস। এই সময়ে মরদেহগুলো ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে মরদেহগুলো।
সূত্র:বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
সংবাদটি সর্বমোট 262 বার পড়া হয়েছে