নরসিংদীর মেঘনা নদীর ভাঙনে কবরস্থান থেকে বের হচ্ছে মরদেহ

নবকণ্ঠ ডেস্ক:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরেরচরে ফের মেঘনায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত রবিবার রাত ১০ টার দিকে শুরু হওয়া ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কবরস্থান ও মাদরাসার ঘরসহ জমি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ফকিরেরচর গ্রামসহ ফসলি জমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দশকে মেঘনার ভাঙনে ফকিরেরচরে কয়েক’শ বিঘা ফসলি জমি, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মাদরাসা ও তিনশ বছরের পুরনো কবরস্থানটি বিলীনের পথে।
গত পরশু রাতে হঠাৎ আবারও ভাঙন শুরু হয়। ওই সময় কবরস্থান ও মাদরাসার ঘরসহ জমি বিলীন হয়ে যায়। বাকি অংশটুকও যে কোন সময় বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ঝুঁকিতে রয়েছে ফকিরেরচর গ্রাম ও ফসলি জমি। ভাঙনরোধে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ভাঙনের সঙ্গে কবর থেকে বেরিয়ে আসছে মৃত ব্যক্তির মাথার খুলি ও হাড়। এর পাশেই রয়েছে একটি মাদরাসা। ভাঙনে মাদরাসা ঘরসহ জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। দুই দশক আগে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিতে এখন ছাত্র সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে বাকি অংশটুকুও বিলীন হয়ে যাবে।
শ্রীনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লা জানান, ফকিরেরচর মাদরাসা ও কবরস্থানের ভাঙনের বিষয়টি এতদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরেই আসেনি। এখানে আমার দাদা-দাদিসহ অনেক স্বজনদের কবর ছিল। মেঘনায় কবরগুলো বিলীন হয়ে গেছে। মাদরাসা-কবরস্থান রক্ষায় একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেল জানান, রাতে ভাঙনের সংবাদ শুনে সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংসদকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মাদরাসা ও কবরস্থানটি প্রায় বিলীনের পথে। ঝুঁকিতে রয়েছে ফকিরেরচর গ্রামসহ ফসলি জমি। ভাঙন রোধে এখানে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন বলেন, এখানে এসে ভাঙনের ভয়াবহতা উপলদ্ধি করতে পেরেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাঙন এলাকাটি পরিদর্শনে আসবেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ

সংবাদটি সর্বমোট 259 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *