নবকণ্ঠ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রেললাইন ভাঙা দেখে গামছা উড়িয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করেছেন দুই ব্যক্তি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের মশাখালী-কাওরাইদ স্টেশনের মধ্যবর্তী লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি ১৩৫ নম্বর ফরচুঙ্গির ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
এর পূর্বে গত ২ জুনও একই রেলপথের গফরগাঁও-মশাখালী স্টেশনের মধ্যবর্তী হাতীখলা বাজারে রেললাইন ভাঙা থাকায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন হেঁটে ব্রিজ পারাপারের সময় ব্রিজের ওপর দুই লাইনের সংযোগস্থলে প্রায় ১০ ইঞ্চি পরিমাণ রেললাইন ভাঙা দেখতে পান।
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেন আসছিল। এ অবস্থায় গোলাবাড়ী গ্রামের জনৈক আজিজুল হক ও ফরহাদ মিয়া অনেকটা অগ্রসর হয়ে ট্রেন থামানোর জন্য গামছা উড়িয়ে চালককে বিপৎসংকেত দিলে চালক ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে অল্পের জন্য হাজারো যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পায়। পরে ভাঙা লাইনটি মেরামত করা হলে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ট্রেনের সহকারী চালক ইদ্রিস আলী (৪০) জানান, সকাল ৯টা ৩০মি দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। ফরচুঙ্গি ব্রিজ এলাকায় লোকজনের গামছা উড়ানো সংকেত দেখে ট্রেন থামাই। এতে একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি।
মশাখালী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই, ১৩৫ নম্বর ব্রিজের ওপর রেললাইন ভাঙা থাকায় স্থানীয় লোকজন ট্রেন থামিয়ে দেয়। এতে মশাখালী রেলস্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে। পরে দুপুর ১টার দিকে ভাঙা রেল মেরামত করা হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গফরগাঁও স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, রেললাইনের টেম্পার কমে গেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ লাইনগুলো বহু পুরনো, তাই হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় মানুষ সচেতন হয়ে আগে ভাগে জানানোর কারণে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
সংবাদটি সর্বমোট 236 বার পড়া হয়েছে