নবকণ্ঠ ডেস্ক:
এক মাসের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে আবারো নদী ভাঙনে দুটি চাতাল মিলের প্রায় দুই শ ফুট জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শ্রমিকরা জীবন বাঁচাতে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন। বার বার ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীসহ চাতাল শ্রমিকদের।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৯ জুন তীব্র স্রোতের বাগানবাড়ি এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হলে তখন মিলের দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়।
তারা হলেন রহমত রাইছ মিলের চাতাল শ্রমিক মোস্তাক ও মিস্ত্রি শরীফ। দুই দিন পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন খবর পেয়ে ভাঙনকৃত এলাকা পরিদর্শনে আসেন ভৈরব-কুলিয়ারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে নিখোঁজদের পরিবারকে নগদ বিশ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
একমাস আগে একই স্থানে ভাঙনে বেশ কয়েটি স্থাপনা বিলীনসহ দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই থেকে মিলের শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। বর্তমানে চাতাল মিলের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত হয়ে পড়েছে। মিলের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পলি ব্যাগে মাটি ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছিলাম। আজ আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন রোধে অচিরেই কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সূত্র: কালের কণ্ঠ
সংবাদটি সর্বমোট 159 বার পড়া হয়েছে