অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সমালোচনা করে কে কী বলল সেটা শুনে হয়তো আমরা দেখতে পারি আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না। সেটুকু আমরা নেব; কিন্তু ওই কথায় যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন, নিজেরা যেন হতাশ না হন। কেউ হতাশাগ্রস্ত যেন না হয়ে পড়েন আমি সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে বলব। ‘
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনায় হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সে অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তারপরও আমাদের যতটুকু নিজেদের ব্যবস্থা আছে সেটা নিয়েই আমরা চলব।
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের হয়তো পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে, টক শোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলরা কথা বলবে। বিরোধী দলরা বলবেই, বলাই তাদের কর্তব্য; তারা বলে যাক। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না এবং দেশের সাধারণ মানুষ গ্রামের তৃণমূল মানুষটা সেবা পাচ্ছে কি না। আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, কে কী বলল সেদিকে আমাদের খুব বেশি নজর দিতে হবে না। ‘
উন্নত দেশগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা শুধু আমরা বলছি না, উন্নত দেশগুলো সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় তাদের করতে হবে। সেটা আপনি ইংল্যান্ড বলেন, আমেরিকা বলেন বা ইউরোপের দেশ বলেন, আমি উন্নত দেশগুলোর কথাই বেশি বলব, আমরা তো অনেক দূরে রয়ে গেছি। তাদের অবস্থাই এ ধরনের করুণ। ‘
বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের যেহেতু প্রশাসনিকভাবে দক্ষতার সঙ্গে, আমাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রত্যেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করছেন বলেই কিন্তু আমরা অনেক দেশের থেকে ভালো অবস্থানে এগিয়ে যাচ্ছি। ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের অর্জিত অর্থ নিয়েই সবার বেতন-ভাতা আরাম-আয়েশ সব কিছু। কাজেই কাজ করতে হবে তাদের জন্য তাদের স্বার্থে, তাদের কল্যাণে। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আপনি যেন নির্বিঘ্নে আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন তার জন্য; কিন্তু আমরা অনেক ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্যটাই এভাবে ছিল প্রশাসনিক অবকাঠামোগুলো আরো যুগোপযোগী করা। ‘
‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে এবারই প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেওয়া হলো ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। এত দিন এ পদকের নাম ছিল শুধু জনপ্রশাসন পদক। এ বছর বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় এবং একটি ইউনিট। সূত্র: কালের কণ্ঠ
সংবাদটি সর্বমোট 156 বার পড়া হয়েছে