নবকণ্ঠ ডেস্ক : সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালসহ ১৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয।
মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ভার্চ্যুয়ালি ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে তেল ও মসুর ডাল ক্রয়ে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধিন টিসিবি’র তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ি, সুপার ওয়েল রিফাইনারি’র কাছ থেকে ১৭৩.৯৫ টাকা লিটার দরে প্রায় ৪০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল কেনা হবে। ১৭১ টাকা লিটার দরে তিনটি সাপলাইয়ার কোম্পানির কাছ থেকে বাকি ৮৫ লাখ লিটার তেল কেনা হবে। সরবরাহকারি তিনটি কোম্পানি হচ্ছে, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি শুন শিং এডিবল ওয়েল লিমিটেড, বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড এবং সেনা এডিবল ওয়েল ইনডাস্ট্রি। শুন শিং এডিবল ওয়েল লিমিটেড সরবরাহ করবে ২০ লাখ লিটার, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড সরবরাহ করবে ৩৫ লাখ লিটার এবং সেনা এডিবল ওয়েল ইনডাস্ট্রি সরবরাহ করবে ৩০ লাখ লিটার ওয়েল। তিনি জানান, তিনটি সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যে প্রায় ৫০০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করা হবে। এতে প্রতি কেজি ডালের মূল্য পড়বে ১১১ টাকা। এ ছাড়া ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করা হবে এসিআই’র কাছ থেকে, ১ হাজার মেট্রিক টন নাডিল ট্রেডার্স থেকে এবং আরও ১ হাজার কেজি ক্রয় করা হবে রায় ট্রেডার্স থেকে। তিনি বলেন, সরকারের খোলা বাজারে বিক্রয় নীতির অংশ হিসাবে এ সব ডাল টিসিবি বিক্রয় করবে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রি পরিষদ কমিটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আরও ১৩টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) চারটি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে। এই সারের মধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন প্রায় ৩০ হাজার ব্যাগযুক্ত প্রিলড ইউরিয়া সার কাতারের মুনতাজাত থেকে ১৫২.৫০ কোটি টাকায় এবং কাফকো থেকে ১৫১ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার সার সংগ্রহ করা হবে।
সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ১৫১.৮৮ কোটি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া এবং এই একই সৌদি কোম্পানি থেকে ১৪৯.০৮ কোটি টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা হবে।
চারটি লট থেকে প্রত্যেক মেট্রিক টন ইউরিয়ার দাম হবে ৪৪৩.৩৫ থেকে ৫২৪.৫০ ডলার, যা আগে মেট্রিক টন প্রতি ৫৮৮ থেকে ৫৫৭.৮৭ ডলারের মধ্যে ছিল। এতে বোঝা যায় যে, বিশ্ব বাজারে ইউরিয়া সারের দাম কমছে, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ১০০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ছয়টি পৃথক প্রস্তাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বন্দরে ছয়টি বার্থ অপারেটর নিয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 320 বার পড়া হয়েছে