নবকণ্ঠ ডেস্ক:
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে সরকারের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা করে নারীর অধিকার বাস্তবায়নে মহিলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
এসময় স্পিকার ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে নারী আন্দোলনের দাবি পূরণের স্বর্ণযুগ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো সংবেদনশীল নারী নেতৃত্বের ফলে নারী সুরক্ষা আইন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্যতার হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনা, নারীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন রকম ভাতা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে ‘অনন্য নেতৃত্ব’।
তিনি আজ জাতীয় সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারী সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।
অনুষ্ঠানে জাকিয়া পারভিন খানম এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, এ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি, লুৎফুন্নেসা খান এমপিসহ সংসদ সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের সুযোগ রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু নারীদের এগিয়ে নেয়ার কথা ভেবে সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে ৭৩ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন- যা বিশ্বের অনেক দেশ এখনও করতে পারেনি। আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিকরা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা রয়েছেন। তিনি আগামীতে সরাসরি ভোটে নির্বাচন করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য নারীদের প্রতি আহবান জানান।
স্পিকার আরো বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, নারী সংসদ সদস্যগণ বিষয়ভিত্তিক ও গ্লোবাল ইস্যূতে এবং জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু সভায় বক্তব্য রাখেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রয়াণে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 131 বার পড়া হয়েছে