সোহেল সারোয়ার চঞ্চল:
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে মালদ্বীপে। বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন একই সঙ্গে সাফের সভাপতি। মালদ্বীপ হতে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানিয়েছেন, সাফে দেখা সব দলের খেলার কথা। সালাহউদ্দিন দাবি করলেন সাফের দেশগুলোর খেলার উন্নতি হয়েছে। কেউ কাউকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে গেছে এমনটা দেখছেন না তিনি। তার প্রমাণও দিলেন এই সাবেক তারকা ফুটবলার।
বললেন, ‘এবার সাফে আগে থেকে কেউ ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেনি। করতে পারেনি। খেলাটা এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, এখন এটা বাঁচা মরার খেলা হয়ে গেছে। ফাইনালে কোন দুই দল খেলবে সেটা এখনো কেউ বলতে পারছে না। আগামীকাল বাংলাদেশ-নেপাল এবং মালদ্বীপ ভারত ম্যাচ আছে। সেই ম্যাচের আগে বলা যাচ্ছে না কারা ফাইনালের টিকিট পাচ্ছে। আমি বলতে পারি আগামীকাল যে দুটি খেলা আছে এটি হবে ডু অর ডাই ম্যাচ। কারণ এখানে বাংলাদেশ হারলে বিদায়। ভারত হারলে বিদায়।’
সালাহউদ্দিন বলছেন, ‘ফাইনালের আগে আগামীকালকের খেলা দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ। হারা যাবে না। হারলেই বিদায়। আমি দেখলাম সাফের খেলায় সব দলের উন্নতি হয়েছে বলেই আগেই কেউ ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি। নিজের দেশের কথা বলছিল এখন আর গল্প করার জায়গা নেই।’
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো নিয়ে সালাহউদ্দিন হতাশ নন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ১-০ গোলে জিতেছে সেই ম্যাচটি ভালোই বলেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ওপেন দুই তিনটা চান্স পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি কাজে লাগাতে পারেনি। সালাহউদ্দিন বললেন, ‘একটা ভুলে গোল হয়েছে তবে লালকার্ড হওয়াটা আমার ভালো লাগেনি। ১০ জন হওয়ার পর চান্স ছিল কিন্তু ঐ যে বললাম লালকার্ড হওয়ার পর আর দলটা দাঁড়াতেই পারেনি। আমি কোচের (অস্কার ব্রুজন) সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে চেয়েছিলাম। কোচ আমাকে যেটা বলেছে, ‘সাত দিনে তিন ম্যাচ খেলেছে। ক্লান্তি ছিল খেলোয়াড়দের মধ্যে। তার ওপর খেলোয়াড়রা লম্বা লিগ খেলেছে। আমি আজকে (গতকাল) কোচের সঙ্গে যেটা আলোচনা করেছি সে আমাকে জানিয়েছে, নেপালের বিপক্ষে এটাকিং ফুটবল খেলবে।’
মালদ্বীপে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকিট নিয়ে হট্টগোল হয়েছে সেখানে। টিকিটের জন্য হাহাকার হয়েছে। পুলিশ এসেছিল উত্তেজনা থামাতে। সালাহউদ্দিন তখন মালদ্বীপে অবস্থান করছিলেন। তিনি দেখেছেন কি হয়েছে। কিন্তু তার পক্ষে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য খুব একটা বেশি কিছু করার ছিল না জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ফিফার সঙ্গে যে চুক্তি সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ২৫০টা টিকিট পেয়েছে। আমরা অনুরোধ করে আরো ১০০টা বাড়িয়ে এনেছি। এর পর যখন মালদ্বীপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং হয় তেখন আরো ৩০-৪০টা টিকিট বেশি দিতে বলেছিলাম। আমরা যেটা করেছি সেটা ঠিক না। বরং মালদ্বীপ নিময় ভাঙেনি। আমি সাফের সভাপতি হিসেবে বেশি টিকিট চাইতেই পারি। কিন্তু এখানে ফিফার বিষয় রয়েছে তাই মালদ্বীপ নিয়ম ভাঙতে পারবে না।’ তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক
সংবাদটি সর্বমোট 221 বার পড়া হয়েছে