নবকণ্ঠ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দ’ুদিন আগে দেশ ও জাতির স্বার্থে শাহাদাত বরণকারী মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্র প্রধান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। .
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুন সূর বাজানো হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
৫০ বছর আগে এই দিনে, দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, পাকি¯াÍনি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগী আলবদর, রাজাকার এবং আল-শামস এর সাথে যোগসাজশে দেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। সদ্য উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।
১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অধ্যাপক, সাংবাদিক, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও শিল্পীসহ মাটির দুই শতাধিক কৃতী সন্তানকে নিজ নিজ বাসভবন থেকে অপহরণের পর জিম্মি করে তাদের চোখ বেঁধে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে।
পরবর্তীকালে, রায়েরবাজার এবং মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে তাদের গণহত্যা করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে যারা খুনিদের রোষানলে পড়ে তাদের মধ্যে ছিলেন ড. আলীম চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান এবং সেলিনা পারভীন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী।
এর পর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 133 বার পড়া হয়েছে