নবকণ্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম । তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিতে বিশ্বাসী পরিবার থেকে অনুপ্রানিত হয়ে “শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি” ছাত্রলীগের এই মূলনীতিকে বুকে ধারণ করে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় কার্যক্রম শুরু করেন।
উনার জীবনের রাজনৈতিক অধ্যায় সমূহ:
• সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
• সাবেক উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ (২০১২-২০১৯)। সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (২০০৬-২০১২)
• সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (২০০৪-২০০৬)।
• সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (২০০২-২০০৪)।
• বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন ২০০৬ সালের সম্মেলনে।
• ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন। যাহার ফরম নং-২০১৩-১০-০০৭৫, নরসিংদী-০৪, (মনোহরদী বেলাব আসনের জন্য) ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন যাহার ফরম নং- ১৮৪১, নরসিংদী-০৪, (মনোহরদী বেলাব আসনের জন্য)
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি)
পারিবারিক ও ব্যক্তিগত পরিচয়:
পিতা কাজী মো. কফিল উদ্দিন, মাতা মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার খাতুন স্ত্রীঃ আফরোজা আনজুম ফেন্সী (উপ-পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) পৌরসভা, মনোহরদী নরসিংদী।
স্থায়ী ঠিকানা: ২নং ওয়ার্ড, মনোহরদী, বর্তমান ঠিকানা : বাসা-বৈকালী রোড # ০৭, ধানমন্ডি অফিসার্স কোয়াটার, ঢাকা।
ধর্ম: ইসলাম (সুন্নি)
জাতীয়তা: বাংলাদেশী
পেশা: ব্যবসা
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া কালিন সময় সময় থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হই। পরবর্তীতে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সব ধরনের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি।
দীর্ঘ ২৬ বছর পর ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত-শিবিরের ঘাটিতে আঘাত হানা হয়, সেই জামাত শিবিরের বিরোধী আন্দোলনে আমি অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বার বার হামলা মামলার শিকার হই। ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা কালিন সময়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ, শিবির ও ছাত্রদল দ্বারা নির্যাতন ও মামলার শিকার হই। ২০০৬ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকার রাজপথে তৎকালিন বিএনপি, জামাত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আমার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ২৫টি সেলাই লাগে যা আজও আমার মাথায় দৃশ্যমান। ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেই। ১/১১ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর ঢাকা রাজপথে দলের পক্ষে নেত্রীকে মুক্ত করার যে সকল কর্মসূচী হয়েছিল সে সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ১০ হাজার লোককে চাল, ডাল, আলু, চিনি, তৈল, সেমাই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান প্রদান করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে অধ্যবদি মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ডে নানাবিধ সামাজিক অনুষ্ঠান খেলাধুলা, ওয়াজ মাহফিল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বনসহ সকল ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকি।
তিনি আরো জানান, অসহায় ও দরিদ্র জনসাধারণের চিকিৎসায় সহায়তা প্রদান করি। মনোহরদী ও বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির প্রায় সকল সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও অন্যন্যা অঙ্গসংগঠনের নেত্রবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজ নামচা বই প্রায় ১০ হাজার উপহার হিসেবে প্রদান করি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশগ্রহণ করি। দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে বিভিন্ন পর্যায়ে শীত বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করি। প্রতি বছর দুই ঈদে গরীবদের মধ্যে শাড়ী, লুঙ্গী সহ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করি। মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড লিফলেট সহ গণসংযোগ করি। মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে অসহায় মহিলা যারা সেলাইয়ের কাজ জানে এ রকম ১২৫ জনকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয় যা আগামীতে ও অব্যাহত: থাকবে।
এছাড়া মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে প্রতিবন্ধী, পক্ষাঘাতগ্রস্থ্য অসহায় ১৩৫ জনকে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয় যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতি বছর শীতের মধ্যে মনোহরদী এবং বেলাব উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ১০ হাজার কম্বল বিতরণ এবং এই বছর শীতের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়। মনোহরদী এবং বেলাব উপজেলার প্রায় সবগুলি মাদরাসায় মাহে রমজান উপলক্ষে ২ হাজার ৪শত কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয় । মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি ওয়ার্ড ও প্রতিটি গ্রামে নিয়মিত দলীয় নেতা কর্মী সহ সাধারন জনগনের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনি নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) সংসদীয় আসনে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সংবাদটি সর্বমোট 1,381 বার পড়া হয়েছে