নরসিংদীর বাদুয়ারচরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা ও লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর হাজীপুর ইউনিয়নস্থ বাদুয়ারচর কাচারীবাজারএলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাদুয়ারচর গ্রামের মৃত আ: সামাদের ছেলে মোঃ আলতাফ হোসেনের লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, ১। মোঃ অলিউল্লাহ (৪৮), পিতা-মৃত ইয়াজ উদ্দিন (ও কেনু মুন্সি, ২। জহিরুল ইসলাম (৩৫), পিতা-আঃ রব মিয়া, ৩। জেমস মিয়া (২৪), ৪। ঝিনুক মিয়া (২২), উভয়, পিতা-মৃত এবাদুল্লাহ, ৫। আহসান উল্লাহ (৩২), পিতা-মৃত ইয়াজ উদ্দিন (দ) কেনু মুন্সি, ও পাপ্পু মিয়া (২৭), পিতা-আঃ রব মিয়া, ৭। শাহনাজ বেগম (৪২), স্বামী- অলিউল্লাহ, ৮। আঃ রব মিয়া (৫৭), পিতা-অজ্ঞাত, ৯ আশিক (২৪), ১০। শামীম (২৬), উভয় পিতা-অলিউল্লাহ, সর্ব সাং-বাদুয়ারচ কাচারীবাজার, ইউ.পি-হাজীপুর, থানা ও জেলা-নরসিংদী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের সাথে পূর্ব থেকেই পাবিারিক এবং জায়গা-জমি সহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

মোঃ আলতাফ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, মোঃ অলিউল্লাহ ও ঝিনুক মিয়া এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়ানো সহ আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গত ০৫/৪/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.১৫ মিনেটে পূর্ব আক্রোশকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা  তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন কে নিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি, দা, ছোৱা, লোহার পাইপ, রড, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় তৈরি অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ কয়ে আমার আপন ছোট ভাই আক্রাম হোসেন (৩৬) এর উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করে। ১নং বিবাদীর হুকুমে ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হাত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই আক্রাম হোসেনের মাথায় কোপ মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমার ভাই আক্রাম হোসনের ডাক-চিৎকারে আমার অপর ভাই মনির হোসেন (৩৭), ইকবাল (৩৯), ভাগিনা রহমতউল্লাহ (২২) এগিয়ে  আসলে আক্রাম হোসেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সকল বিবাদীরা তাদের উপরও অতর্কিত আক্রমণ করে। এ সময় ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই মনির হোসেনের মাথায় কোপ মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই আক্রাম হোসেনের মাথায় কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এ বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়া আমার ভাই ইকবাল হোসেনের ডান চোখের নিচে পোছ মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করাসহ পুনরায় ডান কাধে ঘাই মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আমার ভাই ইকবালের ডান হাতের কনুইয়ের নিচে স্বজোরে বারি মেরে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। ৫ ও ৬নং বিবাদীদ্বয় আমার ভাগিনা কে লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমার ভাই-ভাগিনাদের ডাক-চিৎকারে আমার ভাই ইকবালের আক্তার সহ মাহফুজা আক্তার, পারুল সহ অন্যান্যরা এগিয়ে ভাইদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০নং বিবাদীরা সহ সকল বিবাদীরা এলোপাথারী ভাবে মারধর করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী ইকবালের সাথে থাকা নগদ ১২,৩০০/- টাকা, ২নং বিবাদী মাসুমা আক্তারের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ৬০,০০০/- টাকা, ৩নং বিবাদী মাহফুজা আক্তারের গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ৭০,০০০/- টাকা এবং ৪নং বিবাদী পারুলের গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ৫০,০০০/ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। তখন আমার ভাই সহ অন্যান্য জখমীদের ডাক-চিৎকারে আমাদের বাড়ী-ঘরের লোকজন সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে এই বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করলে বা আইনের আশ্রয় নিলে বিবাদীরা পরবর্তীতে আমাদের বাড়ীর লোকজনদের খুন জখমের হুমকী প্রদান করে চলে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে আমি বাড়ীতেে এসে আমার ভাইদের অবস্থা গুরুতর দেখে বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় আক্রাম হোসেন, মনির হোসেন, ইকবাল হোসেন ও রহমত উল্লাহ সহ অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করলেও আমার ভাই আক্রাম হোসেনের শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করি। বর্তমানে আমার ভাই আক্রাম হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালে এবং মনির ও ইকবাল নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে ঘটনার বিস্তারিত শুনে চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের জানিয়ে আমি নিরুপায় হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি সর্বমোট 150 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *