প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ “দৈনিক সময়ের মুক্তচিন্তা” ও ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সাপ্তাহিক আজকের চেতনা নামক নরসিংদীর স্থানীয় দুটি পত্রিকায় “২৭ বছর ধরে এডহক কমিটি, ধ্বংসের পথে অবকাঠামো, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নাম মাত্র, ঐতিহ্য হারিয়ে নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমী” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সঠিক নয়। বরং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা অনেকাংশেই ভিত্তিহীন। আমি পয়েন্ট আকারে তা তুলে ধরছি:
১। শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়। আমি এই জেলায় যোগদানের পূর্ব থেকেই এখানে এডহক কমিটি চলমান। পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রফেসর মোহাম্মদ আলী (সাবেক অধ্যক্ষ, নরসিংদী সরকারী কলেজ) স্যারের কথা। তিনি বর্তমান এডহক কমিটির সক্রিয় সদস্য।
২। আমি যখন শিল্পকলায় যোগদান করি, তখন শিল্পকলা একাডেমির ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল অনেক কম। বর্তমানে যা ৮৪০ এ উন্নীত হয়েছে। যা সমগ্র বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমির প্রেক্ষাপটে ৫ম। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) তে নরসিংদী সকল জেলার মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। আমরা ধীরে ধীরে শিল্পকলা একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের মান বৃদ্ধির দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। শিল্পকলা একাডেমির সকল প্রশিক্ষক এবং স্টাফরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, অনুষ্ঠান সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। তার পরেও শিল্পকলা একাডেমি নিয়ে এতো সমালোচনা। কারণ যারা কাজ করে, মানুষ তাদের নিয়েই সমালোচনা করে বেশি।
৩। আমি আরও বলতে চাই, ভবন সংস্কার নিয়ে। ভবন সংস্কারের লক্ষ্যে ২৭টি শিল্পকলা একাডেমি মেরামত ও সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা “একনেক” (জাতীয়, অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) এ পাশ হবার কথা ছিল (যাতে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমি অন্তভূক্ত ছিল)। কিন্তু পরবর্তীতে দেশব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্প থেকে বেশ কিছু শিল্পকলার নাম বাদ পড়ে যায়। যার মধ্যে নরসিংদী জেলা একটি। পরবর্তীতে শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার ও মেরামতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি হতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। যা গণপূর্ত অধিদপ্তর নরসিংদীর মাধ্যমে কার্য সম্পাদান করা হয়। বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় সকল সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।
৪। সংবাদপত্রে রিপোর্টে করোনা পরবর্তী যাত্রাদল নিয়ে বলা হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে নরসিংদী জেলায় ৬টি দলকে যাত্রাপালা মঞ্চায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল। এর মধ্যে “নিউ শিল্পী অপেরা” যাত্রা দল যথা সময়ে যাত্রা করতে পারেনি। ফলে তার নামে অন্য যাত্রাদলগুলি লিখিত অভিযোগ দেয়। যা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ‘নিউ শিল্পী অপেরা’ যাত্রা দলের পরিচালক জানান তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সঠিক সময়ে যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করতে পারেননি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজে তিনি আরও মনোযোগী হবেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করায়, পরবর্তীতে সে যাত্রাপালাটি মঞ্চায়ন করেন। সকল যাত্রাদলকে চেকের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
৫। গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ একটি মহলের ইন্ধনে, হাতে গোনা কয়েকজন নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে শিল্পকলার নামে বিভিন্ন শ্লোগান এবং অপপ্রচার চালায়। পরবর্তীতে মূল ধারার সকল সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
সামগ্রিক দিক বিবেচনায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

-মোছা: শাহেলা খাতুন,
জেলা কালচারাল অফিসার, নরসিংদী।

 

বিজ্ঞপ্তি: নর/নবকণ্ঠ নং-৩২/০৯-২৪ (প্রতিবাদকারীর নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশ করা হলো)

সংবাদটি সর্বমোট 602 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *