শান্ত বণিক:
নানাবিধ প্রতিভায় অনন্য ব্যক্তি নূরুদ্দীন দরজী। তিনি চির সবুজ ও সবসময়ই তারুণ্য বিদ্যমান। নূরুদ্দীন আহাম্মেদ ওরফে নূরুদ্দীন দরজী (জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৫৬), পিতা-মিয়া চাঁন দরজী, মা-মাসতুন্নেছা বেগম, দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া, শিবপুর, নরসিংদী একজন শিক্ষানুরাগী, লেখক ও কবি। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ আমার বাড়ি দত্তেরগাঁও, বাংলাদেশের হৃদয় হতে। তিনি বর্তমানের একজন সময়োপযোগী লেখক।
জন্ম: গ্রাম-দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া, শিবপুর, নরসিংদী।
জাতীয়তা: জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।
মাতা-পিতা: পিতা: মিয়া চাঁন দরজী, মা- মাসতুন্নেছা বেগম
ব্যক্তিগত জীবন: স্ত্রী সামসুন্নাহার খান রুবী।
পেশা: প্রাক্তন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বর্তমানে লেখালেখির সাথে জড়িত।
শিক্ষা জীবন: দত্তেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৬ মাস প্রথম শ্রেণি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে দুই বছর অধ্যয়ন করে মাত্র আড়াই বছরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৬ মাস, রায়পুরার ডুকুন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুদিন ও পরে দত্তেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা শুরু করে ১৯৭২ সালে কৃতিত্বের সহিত এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজ থেকে এইচএসসি, ও বি,এ পাশ। ঢাকা রিচার্স ট্টেনিং কলেজ থেকে বিএড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা ও তদীয় আই,ই আর থেকে এমএড গ্রহণ।
কর্মজীবন: এসএসসি পাশের সাথে সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় দত্তেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান। একই পদে রাজধানী ঢাকার নয়াটোলা, রোটারী ও বিকে আফতাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। অতপর প্রথম সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সর্বশেষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন রাঙামাটি ও আলীগঞ্জ, চাঁদপুরে প্রাইমারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে রিসোর্স পার্সন পদে কাজ। বর্তমানে “দৈনিক নরসিংদীর নবকণ্ঠ, পত্রিকার উপদেষ্টা ও লেখালেখি এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত।
লেখার ধরণ: কবিতা, গল্প ও বিভিন্ন স্বাদের প্রবন্ধ।
রচনাবলি: বাংলাদেশের হৃদয় হতে, (কাব্যগ্রন্থ) আমার বাড়ি দত্তেরগাঁও, গল্প জীবনের কথা বলে, অভিযোগ সত্য নয় (নাটক)। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ: জাজিরা তুল আরবে ঊদিত রবি, ফাতেহা ইয়াজ দহম ও বড় পীর আবদুল কাদির জালানী (রঃ) ইতিহাসে কারবালার নির্মম যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর অসীম উচ্চতা, বঙ্গবন্ধু এক মহাকাব্যিক চরিত্র, যাহার অমর স্হান বাঙালির হদয় আসনে, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি মুক্তির স্বর্ণদুয়ার, যাহার ভালোবাসা আকাশে মিশে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ইতিহাসের চরম বিশ্বাসঘাতকতা, কন্যা সন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক: প্রমাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা, ইতিহাসের তিনটি লোমহর্ষক বিশ্বাসঘাতকতা, শিবপুরের কুইড়ার কিসসা, সত্য চন্দ্র সূর্য, হিমালয়ের চেয়েও উচুঁ বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, বাঙালি জাতি সত্তায় কবি শামসুর রাহমান, শহীদ আসাদের রক্তের পরিক্রমা, মান্নান ভূইঁয়া আছেন মানুষের হৃদয়ে, নরসিংদীর পথিকৃত লেখক সরকার আবুল কালাম, শিশুদের সংস্কৃতিক মূল্যবোধেই নির্মূল হবে জঙ্গিবাদ, আমাদের বঙ্গ জননী গরিব ছিল না, মাতৃস্নেহের মা দিবস, মৃতুর সিঁড়ি বেয়ে জীবনের পথে, ভিক্ষক নই ভিক্ষা চাইনা, শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজ ও খলিল স্যার, যে নায়িকা কবি ছিলেন, যার গানের সুরে জীবনের ছায়া পড়ে, সহমরণ, কবরীর অভিনয় দেখেছি বাস্তবের প্রতিচ্ছবি, ১৯৭১ সালের আগে আমরা পরাধীন ছিলাম, নায়ক রহমানসহ অন্যান্য আর ও অনেক।
নূরুদ্দীন দরজীর উল্লেখযোগ্য কবিতা:
একটি সুন্দর গ্রাম
কত যে সুন্দর আমার গ্রাম দত্তেরগাঁও,,
বেড়াতে এসে বন্ধুরা একটু দেখে যাও।
অনেক বড় গ্রাম আছে সাতটি পাড়া,
এক দিকে ডাক পেলে পড়ে যায় সাড়া।
পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে মানুষ সুন্দর,
আদর স্নেহ ভালোবাসায় ভরে যে অন্তর।
বক্ষ লতা খালবিল সাজানো বাড়িঘর,
চাঁদের আলোয় হাসে পথ ও প্রান্তর।
গোলাকার গ্রামের দক্ষিণে মাঠের বন্দ,
পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে জুড়াই প্রাণমন।
শিবপুর হতে চরসিন্দুর যে আসে যায়,
দক্ষিণা মুক্ত বাতাস সে ভাগ্যবান পায়।
যার গ্রাম তার কাছে জানি অধিক শ্রেয়,
জন্মভূমি সবার কাছে স্বর্গ হতে ও প্রিয়।
যে গ্রামে জন্মে পেয়েছি এ ধন্য জীবন,
এ গ্রামেই প্রভু তুমি দিও আমার মরণ।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
বাংলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত,
মহাকাব্য “মেঘনাদ, যাহার অমর রচিত।
বাংলা সাহিত্যে মহাকবি যারা রয়েছেন বিখ্যাত,
তুমি যে গণ্য হও সবার আগে,তুমি যে স্বতন্ত্র।
ভ্রান্তির ছলনে ক্যাপটিভ লেডি, রচিলে প্রভাতবেলা,
ইংরেজ নও বলে পেলে না মূল্য, পেয়েছ অবহেলা।
যখন ভাঙিল ঘুম জাগিলে মাতৃভাষার তরে,
বাংলা ভাষা হলো ধন্য যদিও বা দ্বিপ্রহরে।
তব হাতে বাংলা নাটক স্বীয় ভাষায় সার্থক,
অমিত্রাক্ষর ছন্দ রচনা করে দেখিয়েছ নতুন পথ।
সোনার চামচ মুখে জন্মেও শেষ জীবনে ছিল বেদনা,
মা-বাবা ভাইবোন আপনজন তেমন কেহ ছিল না।
তোমার প্রতিভা বলে করেছ মানুষের মন জয়,
তুমি বাংলা সাহিত্যে বিরল,যার জ্যোতি বিশ্বময়।
যতদিন রবে বাংলা ও বাংলা ভাষা পৃথিবীতে বহাল,
ততদিন বাংলার তুমি মহাকবি তার আদরের দুলাল।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
টাইগার! টাইগার!! টাইগার!!!
বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
গর্জনে কাঁপে বিশ্ব,অবাক তাকিয়ে রয়,
সাবাস ধ্বনিতে সবাই মুখরিত হয়।
এ বাঘের গর্জনে তাড়িত হয়েছে, ইংরেজ,
পাত্তা পায়নি ডাচ পর্তুগিজ, পাষান্ড পাকিস্তান,
খেয়েছে তীক্ষ্ম নখের আঁচড়,পালিয়েছে সব।
৭১ সালে ভয়াল থাবা দেখে স্তম্ভিত হয়েছে বিশ্ববাসী।
স্বৈরাচারীর বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছে
বাংলার গর্ব তেজি টাইগার।
জন্ম-জন্মান্তরে গর্জিবে টাইগার,
জাগিয়ে উঠবে প্রাণের তরে প্রাণ
বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার,
বিশ্ব গাহে তাদের জয়গান।
সংবাদটি সর্বমোট 435 বার পড়া হয়েছে