নবকণ্ঠ ডেস্ক:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে স্বাস্থ্য সেবা অনেক দূর এগিয়েছে। আমাদের টিকার কর্মসূচি বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল সফলতা পেয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে অনেক রোগ-বালাই কমে আসছে।
মন্ত্রী আজ বরিশাল থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের’ নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, টিকাদান কর্মসূচির সফলতার ফলে আমাদের সংক্রমণ রোগ-বালাই কমে গেছে এবং দেশে গড় আয়ু অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের ফলে হাসপাতালগুলোতে এখন রোগীর সংখ্যাও অনেক বাড়ছে।
তিনি বলেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক জেলায় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হয়ে গেছে। আমাদের উপজেলাগুলোতে ৫০ শয্যা রয়েছে। কিছু কিছু ১০০ বেড রয়েছে। আগামীতে সব উপজেলায় ১০০ বেডের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে হাসপাতালটি উদ্বোধনের মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবার বিস্তৃতি ঘটানো। আপনারা (চিকিৎসকরা) নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকবেন। আমরা চাই মানুষ এই হাসপাতালে তাদের কাঙ্খিত সেবা পাক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন প্রতিটি হাসপাতালে যাতে মানুষকে সুন্দরভাবে সেবা প্রদান করা হয়। জেলা হাসপাতাল, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে হবে। ডাক্তার, নার্সরা যদি উপস্থিত না থাকে তাহলে এত বড় হাসপাতাল বানিয়ে কোন লাভ নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওয়াস রুমসহ হাসপাতালের ভিতর ও বাহিরে সুন্দর পরিবেশ রাখতে হবে। যাতে সেবা নিতে আসা মানুষ খুশি হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি যাতে সচল থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সকলে স্বাস্থ্যসেবার যাতে প্রসংশা করে সেইভাবে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।
২৫০ শয্যা হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান, হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. মো. লোকমান হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এসময় বক্তব্য রাখেন।
প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ হাজার স্কায়ার ফিট এলাকায় নির্মিত হাসপাতাল ভবনটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় গণপুর্ত বিভাগ। অত্যাধুনিক ডিজাইনের ৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সার্বক্ষণিক দুইটি লিফটসহ আইসিউ, সিসিইউ, ডায়গনস্টিক সেন্টার, রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, অপারেশন থিয়েটার, কনফারেন্স রুমসহ সকল আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। সূত্র: বাসস
সংবাদটি সর্বমোট 136 বার পড়া হয়েছে