মাঘের শীত টের পাওয়া যাবে কয়েক দিনে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

নবকণ্ঠ ডেস্ক:

সারা দেশে শীতের প্রকোপ আরো বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। আগামী কয়েক দিন এই অবস্থা চলবে। হাড়-কাঁপানো শীতের মাস ‘মাঘ’ যে শুরু হয়ে গেছে, তা উপলব্ধি করা যাবে কয়েক দিনে।

গতকাল শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেশের আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস জানানো হয়। বলা হয়, আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার এই অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। উত্তরাঞ্চলে ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কয়েকটি এলাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। সর্বনিম্ন ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়।

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, মাঘের প্রথম দিন থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিপাকে পড়েছেন জেলার বড় অংশের নিম্ন আয়ের মানুষ।

পৌষের শেষ দিকে উত্তরের এই জনপদের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। মাঘের প্রথম দিনই তা নেমে আসে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। উত্তরে হিমালয় নিকটবর্তি হওয়ায় বরাবরই পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। বেশির ভাগ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে এই জেলায়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। দুপুরে খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কাঙ্ক্ষিত উত্তাপ মিলে না। বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রার পারদ নামতে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে কুয়াশাপাত শুরু হয়। এখন মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। হাড়কাঁপা শীত অনুভূত হচ্ছে।

শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামে শীতের তীব্রতা আরো বেশি। যাঁরা নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন, সেই শ্রমিকরা কষ্টে দিন পার করছেন। এ ছাড়া অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত রাস্তার পাশে কিংবা বাড়ির উঠানে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে অনেকেই।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চগড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়ে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সংবাদটি সর্বমোট 240 বার পড়া হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *